বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবালের
আজীবনের স্বপ্ন ছিল সামনাসামনি প্রিয় খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে দেখা
আর গ্যালারি থেকে বসে প্রিয় ফুটবল দল রিয়াল মাদ্রিদের খেলা দেখা। শনিবার
রাতে কার্ডিফে শুধু সে স্বপ্নই পূরণ হয়নি তামিমের, বরং যা দেখলেন তা বোধহয়
বাকি জীবনভর তৃপ্তিভরে স্মরণ করার মত একটি অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে। তামিম শুধু
সামনাসামনি রোনালদোর খেলাই দেখেননি, বরং তাকে দেখেছেন দুই-দুইটি গোল করে
ম্যাচের নায়ক হয়ে যেতে। এবং রিয়াল মাদ্রিদকে ইতিহাসের প্রথম দল হিসাবে
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে পরপর দুই মৌসুমে শিরোপা জিততে। আক্রমনাত্মক রিয়াল
মাদ্রিদ আর রক্ষণাত্মক জুভেন্তাসের এই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসে রিয়ালই। তবে
শুধু শেষ হাসি হাসে বললে তাদের কৃতিত্বকে ছোট করে দেখা হবে। ৪-১ গোলে জেতা
এই ম্যাচে তারা স্রেফ নাকানিচুবানি খাইয়ে ছাড়ে জুভদের। প্রথমার্ধে ম্যাচ
ছিল ১-১ সমতায়। ম্যাচের ২০ মিনিটে প্রথম গোল করে রিয়াল ভক্তদের আনন্দে
ভাসান রোনালদো। অবশ্য এ যাত্রায় সে আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ২৭ মিনিটে
বাইসাইকেল কিকে দুর্দান্ত গোল দিয়ে জুভেন্তাসকে ম্যাচে ফেরান মারিও
মানজুকিচ। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে পালটে যায় ম্যাচের চিত্র। শুরু থেকেই আক্রমণে
আক্রমণে জুভেন্তাসকে ত্রস্ত করে রাখা রিয়াল ৬০ মিনিটে ২-১ গোলে এগিয়ে যায়
কাসেমিরোর গোলে। তিন মিনিট পরেই রোনালদো তার দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি
করেন। ম্যাচ আদতে ওখানেই শেষ হয়ে যায়। ৮২ মিনিটে গোল দিয়ে জুভেন্তাসের
কফিনে শেষ পেরেকটি গেঁথে দেন মার্কো এসেনসিও। এটি রিয়াল মাদ্রিদের ১২তম
চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। এই ম্যাচ দেখতে ২৭০০ পাউন্ড (বাংলাদেশী মুদ্রায়
প্রায় আড়াই লাখ টাকা) খরচ করেছিলেন তামিম। কিন্তু বিনিময়ে যা দেখার সুযোগ
পেলেন তাকে টাকার অংকে হিসাব করা অসম্ভব। তাই এ কথা বলাই যায়, তামিমের পুরো
পয়সাই উসুল!
- Blogger Comment
- Facebook Comment
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
0 comments:
Post a Comment