ঝালকাঠি দ্বিতীয় পৌর গোরস্থানটি ভাঙ্গনের কবলে পরে হুমকির মধ্যে পরেছে। গোরস্থানের পার্শ্ববর্তী লেকের পাড় ভেঙ্গে ইতিমধ্যেই ৭টি কবর বিলিন হয়ে গেছে। এতে গোরস্থানের অপর মৃতদের স্বজনরা অতংকের মধ্যে আছে। তাদের আশংকা অব্যাহত ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে হারিয়ে যাবে আপনজনদের কবর গুলো। তাই স্বজনদের দাবি পৌরকর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে এ সমস্যার সমাধান করবে।ঝালকাঠি পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, জায়গা সংকুলন না হওয়ায় আধা কিলোমিটারের ব্যবধানে কলেজ রোডের বিদ্যুৎ অফিসের পাশে প্রায় এক একর জায়গার উপর দ্বিতীয় পৌর গোরস্থানটি গড়ে তোলা হয়। ২০০৮ সালে সাবেক পৌর মহিলা কমিশনার হেলেনা বেগম পৌরসভার বিরুদ্ধে ২ একর জায়গা দাবি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। হেলেনা বেগম হেরে গেলে তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত পৌর চেয়ারম্যান আইয়ুব আলি তালুকদার দ্বিতীয় পৌর গোরস্থানটি গড়ে তোলেন। বাকি জয়গার কিছু অংশে ডায়বেটিক হাসপাতাল, মসজিদ ও বিদ্যুৎ অফিসের আওতায় চলে যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় গোরস্থানের দক্ষিন ও পূর্ব অংশে গনপূর্ত বিভাগের প্রায় দুই একর জায়গা জুরে একটি লেক রয়েছে। লেকটির পাড়েই গোরস্থানটি হওয়ায় ভাঙ্গনের কবলে পরেছে। এর প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বড় বড় মাটির চাকা ভেঙ্গে লেকের পানিতে পরছে।
কয়েকটি কবরের অর্ধেক পানিতে চলে গেছে। গোরস্থানটির পশ্চিমে ডায়বেটিক সেন্টার, উত্তরে মসজিদের কারনে সম্প্রসারনের জয়গা নেই। এ অবস্থায় লেকের ভাঙ্গনে গোরস্থানটির জায়গা সংকুচিত হয়ে আসছে। এ বিষয়ে গোরস্থানের পাশের সড়কের দোকানি গাজী হারুন ও মসজিদের ইমাম ইদ্রিস আলি শেখ জানান, বিগত ৬/৭ মাসের ব্যবধানে ৭টি কবর ভেঙ্গে পানিতে তলিয়ে গেছে। আরো ৮/১০টি কবর ঝুকির মধ্যে আছে। তারা আরো জানান, যাদের কবরের জায়গা কেনার আর্থিক সংগতি নেই তাদের স্বজনদের লেকের পারে দাফন করা হয়। ঐ কবর গুলিই ভেঙ্গে যাচ্ছে। লেকের মাছ গোরস্থানের পাড়ের মাটি খাওয়ার কারনেই এ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে সুতালড়ি এলাকার সাবেক পুলিশের পরিদর্শক শাজাহান মৃধা বলেন, আমার স্ত্রীর কবর ভাঙ্গনের কবল থেকে আর মাত্র ৫/৬ হাত দুরে আছে। এ অবস্থায় পৌরকর্তৃপক্ষ গোরস্থানের লেক পাড়ের অংশে গাইড ওয়াল ও মাটি ভড়াট করলে আমার মত অনেক স্বজন তাদের প্রিয়জনের কবর রক্ষা পাবে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মৃতের স্বজন জানান, গত দুই মাসের ব্যবধানে প্রতিটি কবরের জায়গার দাম পৌর কতর্ৃৃপক্ষ ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করেছে। এত দাম দিয়ে কবর কিনে তা যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে মানুষ মারা গেলে দফন করবে কোথায়।এ বিষয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত পৌর চেয়ারম্যান আইয়ুব আলি বলেন, পৌরসভার এই জায়গা পেতে আইনি লড়াই করে কবরস্থান তৈরী করে ছিলাম। তা যদি বর্তমান পৌরপর্ষদ রক্ষা করতে না পারে তা হবে দুঃখ জনক।এ ব্যপারে পৌর মেয়র লিয়াকত আলি তালুকদার বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দরপত্র আহবান করে গোরস্থানের দক্ষিন ও পূর্ব লেকের অংশে গাইড ওয়াল করে দেব।
0 comments:
Post a Comment