আজ পাক-ভারত দ্বৈরথ

অনেকের কাছেই যুদ্ধ। তবে প্রত্যক্ষভাবে যারা লড়াইয়ে অংশ নেন তাদের কাছে সাধারণ আরেকটি ম্যাচ। কিন্তু ম্যাচটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়ার রেসে দু’পক্ষই সদা তৎপর। ক্রিকেটের ক্যাসিক দ্বৈরথ হিসেবে অনায়াসেই চালিয়ে দেয়া যায় ২২ গজের উইকেটে পাকিস্তান-ভারত ব্যাট-বলের লড়াইকে। বহু পুরনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের উত্তাপে প্রভাবিত উপমহাদেশের জনপ্রিয় ক্রীড়া ক্রিকেটে পাকিস্তান-ভারত দ্বৈরথ। তাদের মধ্যকার প্রতিটি নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উত্তেজনা হাজির করায় নেতৃত্ব দেয় গণমাধ্যম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি) এশিয়ার দুই জায়ান্টের দ্বৈরথ নিশ্চিত করেছে আসন্ন ভবিষ্যতের সব মেগা আসরে। উচ্চ মুনাফার সহজ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার প্রশ্নে দ্রুততম সময়েই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। ফলে চলতি বছরের হাইভোল্টেজ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রতিনিধিত্বের সূচনাতেই মুখোমুখি পাকিস্তান-ভারত। আজ বার্মিংহামের অ্যাজবাস্টন স্টেডিয়ামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির লড়াই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায়। ক্রিকেটের মেগা আসরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মোকাবেলায় ভারতের একতরফা সাফল্যও এক্স ফ্যাক্টর ইস্যুতে পরিণত হয়েছে আসন্ন প্রতিটি নতুন লড়াইয়ে বাড়তি উত্তেজনা হাজির করায়। বড় আসরে দল দুটির মধ্যকার সর্বশেষ ৫ ম্যাচের প্রতিটিতেই দাপুটে নৈপুণ্যেই জয়োৎসব করেছে ভারত।
তবে এবার ভিন্ন রকম আবহের মধ্যে দাঁড়িয়ে দেশটি মাঠে নামছে পাকিস্তানের মোকাবেলায়। আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরের আগে ভারতীয় ড্রেসিংরুমে হাজির হয়েছে অশান্তির আগুন। বর্তমান কোচ অনিক কুম্বলকে বহাল রাখা না রাখায় প্রক্রিয়ায় কোহলিসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ চরম ক্ষতিগ্রস্ত করেছে চ্যাম্পিয়ন দলটির ঐক্যের। ইংল্যান্ড সফররত ভারতীয় কন্টিনজেন্টের শিরোনাম দখলে নেয়ার অপ্রত্যাশিত ঘটনাপ্রবাহ পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বীর মোকাবেলার একতরফা ফলাফলের অতীত পাল্টে ফেলার দারুণ সুযোগ পাকিস্তানের সামনে। এ ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারফর্মও করতে হবে দলটির ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে তাদের বোলিং অ্যাটাকের নৈপুণ্য ভাগ্য চূড়ান্ত করবে হাইভোল্টেজ ম্যাচটির। ফলে মাঠে নামার আগেই সতীর্থ ক্রিকেটারদের উজ্জীবিত করার সুযোগও লুফে নিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান-ভারতের মোকাবেলায় পারফর্ম করতে পারলেই বীরের মর্যাদা যোগ হবে ক্যারিয়ারে।’ কোচ ও অধিনায়কের মধ্যকার টানপড়েনের বাইরে দল হিসেবে অসাধারণ এক ইউনিট ভারত। শিরোপা ধরে রাখায়ও তারা ফেবারিট। টুর্নামেন্টে শুভসূচনার রেসে তাদের বাড়তি প্রেরণাও জোগাবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে সাম্প্রতিক সময়ের দাপুটে পারফরম্যান্স। দল দুটির মধ্যকার শেষ ১৫ ম্যাচের ১১টিতেই জিতেছে ভারত। তবে অ্যাজবাস্টনে দুঃস্বপ্ন হজমের শঙ্কাও থাকছে তাদের জন্য। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের প্রতিনিধিত্বের বেলায় দলীয় ঐক্যে ফাটলে ভারতের চরম মাসুল দেয়ার অতীত পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গেই তুলে দেবে অ্যাজবাস্টনের ম্যাচে।
Share on Google Plus

About Unknown

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment