
হাতিরঝিলে
ফেলে যাওয়া বিলাসবহুল পোরশে গাড়ি উদ্ধারের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য একটি
তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। আজ বুধবার
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উপপরিচালক এইচ এম শরিফুল হাসানকে প্রধান
করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা
হলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. বোরহান উদ্দীন, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা
বিজয় কুমার রায়। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
করতে বলা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে জার্মানির
তৈরি পোরশে মডেলের একটি গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন শুল্ক
গোয়েন্দারা, যার দাম প্রায় চার কোটি টাকা। একটি মাত্র চিঠি লিখে মূল্যবান
গাড়িটি ফেলে রাখা হয়। চিঠিতে গাড়িটির মালিকের নাম-ঠিকানা কিছুই উল্লেখ করা
ছিল না। কমিটিকে গাড়ির প্রকৃত মালিক ও ব্যবহারকারীকে শনাক্ত করতে বলা
হয়েছে। একই সঙ্গে সংঘটিত অপরাধের ধরন ও মাত্রা নির্ধারণ করে সুপারিশ প্রণয়ন
করতে বলা হয়েছে।
গাড়িটির ভেতরে পাওয়া চিঠিটি শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক
মইনুল খান বরাবর লেখা ছিল। চিঠিতে গাড়ির মালিক তাঁর পোরশেটি স্বেচ্ছায়
শুল্ক গোয়েন্দার কাছে হস্তান্তর করেছেন। মালিক তাঁর পরিচয় গোপন রেখে
মানসম্মান রক্ষার্থে গাড়িটি পরিত্যাগ করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। এটি
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানি করা হয়েছিল। গাড়িটি শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে
হস্তান্তরের মাধ্যমে তিনি সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছেন বলে জানান। শুল্ক
বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কারনেট সুবিধার আওতায় কোনো বিদেশি চাইলে তাঁর নিজের
গাড়ি নিয়ে বিনা শুল্কেই যেকোনো দেশে ঢুকতে পারেন। তবে ফিরে যাওয়ার সময় তা
ফেরত নিয়ে যেতে হবে। সাধারণত, এক বছরের জন্য এই সুবিধা বহাল থাকে।
ইংল্যান্ডপ্রবাসী এক নারী গাড়িটি এ দেশে নিয়ে আসেন বলে জানান উপপরিচালক
শরিফুল হাসান। সোমবার তিনি বলেন, গাড়ির ইঞ্জিন নম্বর যাচাই করে জানা যায় যে
এটি ২০১০ সালে ইংল্যান্ডপ্রবাসী ফরিদা রশিদ নামের এক নারী চট্টগ্রাম বন্দর
দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। শুল্কসহ গাড়িটির মূল্য চার কোটি টাকা।
0 comments:
Post a Comment