
গণসাক্ষরতা
অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী বলেছেন, আজকে সবাই জিপিএ-৫-এর
পেছনে ছোটে। জ্ঞানকে জিপিএ-৫-এর মধ্যে আটকে না রেখে আহরণের চেষ্টা করতে
হবে। তিনি আরও বলেন, জ্ঞান অনেক মাধ্যমে আহরণ করা যায়। আর জ্ঞান
যাচাই-বাছাই করার জন্য বিতর্ক অনেক বেশি প্রয়োজন। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজে প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদা কে চৌধূরী এসব কথা বলেন। রাজধানীর
উত্তরা অঞ্চলের ২৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই বিতর্ক উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে।
‘যুক্তিতে মুক্তি’ স্লোগানে ঢাকা মহানগরের পাঁচটি অঞ্চলে এই বিতর্ক উৎসব
চলছে। ইতিমধ্যে ধানমন্ডি, মিরপুর ও রামপুরা অঞ্চলে বিতর্ক উৎসব হয়েছে।
সর্বশেষ পুরান ঢাকা অঞ্চলে বিতর্ক উৎসব হবে। রাশেদা কে চৌধূরী বলেন,
মুখোমুখি যুক্তি উপস্থাপনের মাধ্যমে জ্ঞান ও বুদ্ধি প্রয়োগ করা যায়। এ জন্য
প্রয়োজন পাঠ্যপুস্তকের বাইরে অন্যান্য বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা।
বিতার্কিকদের উদ্দেশে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে
চৌধূরী বলেন, ‘পরিশীলিত চিন্তা ও সুন্দর উপস্থাপন—সবকিছু বিতর্কের মাধ্যমে
অর্জন করা যায়। যুক্তি দিয়ে নিজে শিখবে এবং অন্যকে শেখাবে। সমাজ ও দেশের
উন্নতি করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই সমাজ ও দেশ আজকে আমাদের এখানে এনেছে, এই
ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। এটা মনে রাখা দরকার।’ বক্তব্যের শুরুতে সবাইকে
ফাল্গুনের শুভেচ্ছা জানান রাশেদা কে চৌধূরী। তিনি বলেন, প্রথম আলোর আজকের
বিতর্ক উৎসবে আসতে পেরে তিনি অনেক আনন্দিত। বিতর্ক উৎসবে সন্তানদের আনার
জন্য মা-বাবাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বক্তব্য পর্ব শেষে জাতীয় সংগীত এবং
বেলুন উড়িয়ে বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা
করেন প্রথম আলো বন্ধুসভার জাতীয় নির্বাহী পর্ষদের সভাপতি সাইদুজ্জামান
রওশন।
0 comments:
Post a Comment