
এমন
মহাকাব্যিক ম্যাচ, সেটিতে রেফারিং করেছেন বলে ক্যারিয়ার শেষে গর্ব করতে
পারতেন ডেনিস আয়তেকিন। প্রথম লেগে ৪ গোলের ব্যবধান ঘুচিয়ে দ্বিতীয় লেগে
পিএসজিকে ৬-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা...নাতিপুতিদের কাছে করতে পারতেন এই
অবিশ্বাস্য গল্পও। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সেরা
প্রত্যাবর্তনের নাটকের যে তিনিই ছিলেন নিরপেক্ষ সাক্ষী! কিন্তু এই ম্যাচটির
কারণেই কপাল পুড়েছে জার্মান রেফারির। এই মৌসুমে আর কোনো ম্যাচে রেফারিংয়ের
দায়িত্ব না-ও পেতে পারেন আয়তেকিন। ম্যাচে তাঁর কিছু সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে
অনেক বিতর্কের। বার্সেলোনাকে দুটি পেনাল্টি দিয়েছেন, নাকচ করে দিয়েছেন
পিএসজির দু-একটি পেনাল্টির দাবি। সবচেয়ে বেশি বিতর্ক হচ্ছে ৯১ মিনিটে লুইস
সুয়ারেজকে দেওয়া পেনাল্টিটি নিয়েই। রিপ্লেতে দেখা গেছে, পিএসজি ডিফেন্ডার
মার্কিনহোসের সঙ্গে আলতো ছোঁয়া লেগেছিল লুইস সুয়ারেজের, তাতেই পড়ে যান
বার্সা স্ট্রাইকার।
যতটা না ফাউল হয়েছে, সুয়ারেজ তার চেয়ে বেশি পরিস্থিতির
ফায়দা লুটেছেন। এটিকে পেনাল্টি দেওয়ায় কপাল পোড়ার শঙ্কায় আয়তেকিন।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা লিগের ম্যাচ রেফারিদের দায়িত্ব বণ্টনের ভারটা
উয়েফার রেফারিং প্রধান ও কিংবদন্তি রেফারি পিয়েরলুইজি কলিনার হাতে। তিনিই
সিদ্ধান্ত নেবেন আয়তেকিন আগামী কিছুদিন আর কোনো বড় ম্যাচের দায়িত্ব পান কি
না। তবে এখন পর্যন্ত ইঙ্গিত, এই মৌসুমে মাঠের বাইরেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
পেনাল্টিটা নিয়ে সমালোচনাও হচ্ছে অনেক। সবচেয়ে বড় সমালোচক সম্ভবত লার্স
ল্যাজারবেকই। রূপকথা নিয়ে অল্পবিস্তর ধারণা তাঁরও আছে, ২০১৬ ইউরোতে
ল্যাজারবেকই ছিলেন আইসল্যান্ডের কোচ। তবে বার্সার রূপকথার মুগ্ধতা ছাপিয়েও
রেফারিং আর সুয়ারেজের ডাইভেই বেশি বিরক্ত বিখ্যাত সুইডিশ কোচ, ‘এমন ম্যাচের
ভাগ্য একটা ডাইভই নির্ধারণ করে দিল! ব্যাপারটা খুব বাজে হয়েছে। ফুটবল
বিশ্বের জন্য আমার খারাপ লাগছে। খুব রাগও হচ্ছে। এটা তো সুয়ারেজ-নাটক হলো!
এটাই যদি দেখতে না পায়, তাহলে গোলের পাশে আমরা রেফারি কেন রাখছি?’ মার্কা।
0 comments:
Post a Comment