এই
শুষ্ক মৌসুমে শিশুর কাশি শুরু হলে আর সারছেই না। মা-বাবা উদ্বিগ্ন হয়ে
ডাক্তারের কাছে ছুটে যান। চলে ওষুধপত্র, গরম পানি, মধু, তুলসীর রস—কত কিছু।
কিন্তু কাশি সারার নাম নেই। শিশুদের এ ধরনের কাশির উৎস কোনো জীবাণু নয়,
শহরের বাতাসে উড়তে থাকা ধুলাবালুই এর কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ২০ মাইক্রোগ্রাম ধুলা ও অন্যান্য
পদার্থ থাকলে তা সহনীয়। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণা অনুযায়ী, ঢাকার
বাতাসে ধুলাবালুসহ বিভিন্ন দূষিত পদার্থ আছে প্রতি ঘনমিটারে ৪৬৩
মাইক্রোগ্রাম।
এটা শিশুদেরই বেশি ক্ষতি করে, কারণ তাদের শ্বাসনালি অপরিণত।
কাশির সঙ্গে শিশু ভোগে নাক ও চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চুলকানি
ইত্যাদি সমস্যায়ও। তবে জ্বর থাকে না। যেহেতু কোনো জীবাণুর সংক্রমণ নেই,
তাই এর চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। লবণ পানি দিয়ে শিশুর নাক
পরিষ্কার করে দিন। ছোট শিশুদের বুকের দুধ বন্ধ করা যাবে না। একটু বড়
শিশুদের রং চা, লেবু চা, মধু ইত্যাদি খাওয়াতে পারেন।
কাশি প্রতিরোধে করণীয়
এই
সময়ে রাস্তায় বের হলে শিশুদের মাস্ক পরাতে পারেন। বাইরে থেকে আসার পর শরীর
মুছে দিন। ঘামে ভেজা কাপড় দ্রুত পাল্টে দিন। শিশুকে সাবান দিয়ে হাত ধুতে ও
হাঁচি দেওয়ার সময় টিসু ব্যবহার করতে শেখান। কাশি হলে অনেকে বাচ্চাকে গোসল
করান না। কিন্তু নিয়মিত গোসলেই শরীর ধুলা ও ময়লামুক্ত থাকে। শিশুর যদি
দুই সপ্তাহের বেশি কাশি থাকে, পরিবারের কারও হাঁপানি বা অ্যালার্জি থাকে
কিংবা কাশির সঙ্গে তীব্র জ্বর বা ওজন কমতে থাকে তবে দ্রুত চিকিৎসকের
পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
শিশু বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
0 comments:
Post a Comment