
অভিবাসন
মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন
দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিবাসী আটক কেন্দ্রগুলোতে ৫০ জন বিচারক পাঠাচ্ছে।
মার্কিন বিচার দপ্তর থেকে গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত চিঠি বিচারকদের কাছে
পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা অভিবাসন সংক্রান্ত মামলাগুলোর দ্রুত
নিষ্পত্তি করা ট্রাম্প প্রশাসনের মূল লক্ষ্য। বিচারকদের সকাল ৬টা থেকে রাত
১০টা পর্যন্ত দুই ধাপে বসার অনুরোধ করার বিষয়টি বিবেচনা করছে ট্রাম্প
প্রশাসন। ওই বিচারকদের ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগো,
ইলিনয়ের শিকাগোসহ
বিভিন্ন স্থানের আটক কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এ নিয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে
যোগাযোগ করা হলে বিচার দপ্তরের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
মার্কিন বিচার দপ্তরের হিসাবে, অভিবাসন আদালতে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি মামলা
ঝুলে আছে। অনেক মামলার পরবর্তী তারিখ এখনো দেওয়া হয়নি। নতুন নিয়োজিত
বিচারকেরা মামলাগুলো দ্রুত শেষ করে অভিবাসীদের আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন হয়
মঞ্জুর করবেন, নয়তো বহিষ্কার করার নির্দেশ দেবেন।
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আরও চ্যালেঞ্জ
এদিকে ছয়টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা নির্বাহী আদেশ আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। নতুন ওই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস এবং অরেগনে। এর এক দিন আগে দ্বিতীয় দফার নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হয় হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে। মামলায় নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য তাদের আগের অবস্থানে বহাল আছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ মনে করে, দ্বিতীয় দফায় দেওয়া নির্বাহী আদেশটিও মুসলমানদের বিরুদ্ধে। এটিও ভিন্ন আদলে মুসলিমবিরোধী আদেশ। ওয়াশিংটন বলছে, এই আদেশ সে অঙ্গরাজ্যের জন্য ক্ষতিকর। অরেগন কর্তৃপক্ষ বলছে, এই আদেশের ফলে চাকরিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতি ইত্যাদি বিভিন্ন শ্রেণি ও ক্ষেত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যাসাচুসেটস কর্তৃপক্ষ মনে করে,
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় আরও চ্যালেঞ্জ
এদিকে ছয়টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফা নির্বাহী আদেশ আরও কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে আইনি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। নতুন ওই নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস এবং অরেগনে। এর এক দিন আগে দ্বিতীয় দফার নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হয় হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে। মামলায় নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য তাদের আগের অবস্থানে বহাল আছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ মনে করে, দ্বিতীয় দফায় দেওয়া নির্বাহী আদেশটিও মুসলমানদের বিরুদ্ধে। এটিও ভিন্ন আদলে মুসলিমবিরোধী আদেশ। ওয়াশিংটন বলছে, এই আদেশ সে অঙ্গরাজ্যের জন্য ক্ষতিকর। অরেগন কর্তৃপক্ষ বলছে, এই আদেশের ফলে চাকরিজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনীতি ইত্যাদি বিভিন্ন শ্রেণি ও ক্ষেত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যাসাচুসেটস কর্তৃপক্ষ মনে করে,
নতুন নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক এবং
অসাংবিধানিক। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাত মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের
বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে ট্রাম্পের প্রথম নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে আইনি
লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিল ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্য। একপর্যায়ে একজন ফেডারেল
বিচারকের নির্দেশে ওই নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত হয়ে যায়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসনের আশাবাদ, নতুন নির্বাহী আদেশ নিয়ে আইনি
লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত তাদেরই জয় হবে। ট্রাম্পের নতুন আদেশ ১৬ মার্চ থেকে
কার্যকর হওয়ার কথা। প্রথম আদেশে সাতটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে
প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। নতুন আদেশে ইরাকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্য ছয়টি
দেশ হচ্ছে ইরান, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদান।
0 comments:
Post a Comment