যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেত্রী
ক্যাথি গ্রিফিন অভিযোগ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার
ছেলে-মেয়েরা ও ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প তাকে চিরতরে শেষে করে দেয়ার
চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে যা হচ্ছে, তা এ দেশে কখনও হয়নি। আমার
জীবন নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ তবে এ হুমকি সত্ত্বেও ট্রাম্পের
সমালোচনা ও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যাদের অবস্থান তাদের পক্ষে লড়াই চালিয়ে
যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে অশ্রুসিক্ত নয়নে এসব
কথা বলেন তিনি। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট।সম্প্র্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
গ্রিফিন একটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যায় ট্রাম্পের রক্তমাখা কাটা
মাথা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। এতে ট্রাম্প, তার পরিবার এবং আরও অনেকেই
ক্ষুব্ধ হন এবং ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হন গ্রিফিন। নিজের ওই ছবি দেখে
‘চমকে ওঠেন’ ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘নিজেকে নিয়ে লজ্জিত হওয়া উচিত ক্যাথির।’
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে মেলানিয়া লিখেছেন, ‘একজন মা, স্ত্রী কিংবা
একজন মানুষ হিসেবে আমি ছবিটি দেখে যারপরনাই বিরক্ত।’ ওই ঘটনাকে ক্যাথির ভুল
পদক্ষেপ উল্লেখ করে তার মানসিক সুস্থতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন
মেলানিয়া। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের এই ভয়ঙ্কর হিংসা-রক্তপাতের যুগে এমন ছবির
প্রকাশ খুবই ভুল পদক্ষেপ। আমি বিস্মিত, মানসিকভাবে সুস্থ একজন মানুষ কি করে
এমন একটা কাজ করতে পারে।’ ট্রাম্পপুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়ার এক টুইটার
পোস্টে লিখেছেন,
‘এটা ন্যক্কারজনক, কিন্তু আশ্চর্যজনক নয়।’ ট্রাম্পকে নিয়ে
দেয়া ওই ব্যঙ্গাত্বক পোস্টকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক আর সমালোচনার মুখে নিজের
ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চান গ্রিফিন। তা সত্ত্বেও তাকে ধারাবাহিক হত্যার
হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অ্যামি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী এই
কৌতুকাভিনেত্রী। ওই ঘটনার জন্য সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও’র মাধ্যমে ক্ষমা
প্রার্থনা ও বার বার দুঃখ প্রকাশ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে একটা কৌতুকের
জন্য একজন ব্যক্তির মরে যাওয়া উচিত নয়। অথচ সেই মৃত্যুর হুমকিই আমাকে দেয়া
হচ্ছে। ক্যাথি দাবি করেন, ‘ক্রমাগত আমি মৃত্যুর হুমকি পাচ্ছি। তারা আমাকে
কীভাবে মারতে চান, তা সবিস্তারে বর্ণনা করেই হুমকি দিচ্ছেন। আজ এখানে আমি,
কাল আমার জায়গায় আপনিও হতে পারেন।’ একজন নারী বলেই এমন হুমকি পাচ্ছেন বলে
মনে করেন তিনি। শুক্রবার ক্যাথির আইনজীবী লিসা ব্লুম অভিযোগ করেন, ক্যাথির
ওপর ট্রাম্প ও তার পরিবার ক্ষমতা প্রদর্শন করছে। প্রেসিডেন্ট পরিবারের এমন
আচরণের পর থেকেই নাকি ক্যাথিকে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এমনকি হত্যার হুমকিও
দেয়া হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্পকে জড়িয়ে ওই ঘটনার পর পরই চাকরি হারান তিনি।
বাতিল করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে করা চুক্তিও।বুধবার সংবাদমাধ্যম
সিএনএনের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় ক্যাথিকে।
তিনি ওই অনুষ্ঠানে ২০০৭ সাল থেকে কাজ করছিলেন।
0 comments:
Post a Comment