মুক্তিযোদ্ধা, আলেম ও এতিমদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ইফতার

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, আলেম-ওলামা এবং এতিম ও প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গে ইফতার করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে শনিবার ইফতারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী এক পাশে এতিম ও অপর পাশে প্রতিবন্ধী শিশুকে নিয়ে ইফতার করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে পাশের শিশুর মুখে ইফতার তুলে দিতে দেখা যায়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী যখন বিভিন্ন টেবিল ঘুরে সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করছিলেন তখনও এক শিশুর মুখে খাবার তুলে দিতে দেখা যায়। অনুষ্ঠান মঞ্চে দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ঈমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, বেফাকের মহাসচিব মাওলানা রুহুল আমীন গওডাঙ্গী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ইফতারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ আবদুল্লাহ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য গোলাম মওলা নকশবন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।আলেম-ওলামাদের মধ্যে ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি মাওলানা আখতার হোসাইন বোখারী, সাধারণ সম্পাদক শেখ আবু হাসান শরিয়তপুরী, মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, হাফেজ মাওলানা আবদুস সাত্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। হেফাজতে ইসলামের কোনো শীর্ষ নেতা ইফতারে উপস্থিত না থাকলেও এর যুগ্ম সম্পাদক এবং খেলাফত আন্দোলনের একাংশের আমির মাওলানা জাফর উল্লাহ খানের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন আলেম ইফতারে অংশ নেন।
হেফাজতের শীর্ষ নেতা আল্লামা শফী, বাবুনগরীসহ অন্যাদের ইফতারে দাওয়াত দেয়া হয়নি বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ আবদুল্লাহ। হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক যুগান্তরকে জানান, সংগঠন হিসেবে হেফাজতে ইসলামকে বা এর শীর্ষ নেতাদের কাউকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। মাওলানা জাফরকে হয়তো খেলাফত আন্দোলনের নেতা হিসেবে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। এদিকে ইফতার সময় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন টেবিলে যান এবং ঘুরে ঘুরে সবার খোঁজখবর নেন ও কুশল বিনিময় করেন। তিনি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। আলেম-ওলামা এবং এতিম ও প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গেও কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীকে এ সময় শিশুর মুখে ইফতার তুলে দিতে দেখা যায়। ইফতারের আগে দেশ ও জাতীর কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মওলানা মিজানুর রহমান মোনাজাত পরিচালনা করেন। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব এবং ১৫ আগস্টে অন্যান্য শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
Share on Google Plus

About Unknown

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment